সোস্যাল ইন্জিনিয়ারিং পর্ব ৪


নিজের কাযোর্দ্ধারের জন্য অন্যের কোন ক্ষতি করাকেই বলে সোস্যাল ইন্জিনিয়ারিং।
আপনার বন্ধুর অর্কুট/ফেসবুক একাউন্ট হ্যাকিং করতে চাইলে Forget password এ ক্লিক করেই সাধারন কয়েকটি প্রশ্নের উত্তরদিয়েই আপনি হ্যাক করতে পারেন। কারন মানুষ ঐসকল জায়গায় কিছু সাধারন প্রশ্নই বেছে নেয়, আর আপনি আপনার বন্ধুর সাধারন তো আছেই এমনকি অনেক গোপন তথ্যও জানেন, তাই নয় কী? তাহলে দেখা যাচ্ছে এখানে সোস্যাল ইন্জিনিয়ারিং একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

মানুষ কতৃক ভার্চুয়াল জগতে অনুমতি বিনা কাজ যেমন কোন কর্পোরেট অফিসের নেটওয়ার্কে প্রবেশ, তাদের অনলাইন সিকিউরিটি, ফায়ারওয়াল, একাউন্ট ইত্যাদি নিবিড়ভাবে পযবের্ক্ষন করে তাতে আক্রমন করা। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যারের সাহায্য নেয়া যায় বা নিজের বানানো কোন হার্ডওয়্যার বা কোডিংও কাজে লাগানো যায়।

মনে করুন আপনার ইমেইলে এরকম একটি মেল এল যে, Congrats! You have got 100000 free visitor, CLICK HERE for withdraw. এভাবে প্রতিদিন গোটা বিশ্বে হাজার হাজার মানুষ তাদের ক্রেডিট কার্ডের তথ্য সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অনলাইনে জমা দিচ্ছে আর হ্যাকিংয়ের শিকার হচ্ছে। সোস্যাল ইন্জিনিয়ারিং নিম্নোক্ত কয়েকটি ভাগে বিভক্ত।

–>impersonation
—>posing as imp. user
—>3rd person approach
—>technical support

কম্পিউটার ভিত্তিক সোস্যাল ইন্জিনিয়ারিং নিচের কয়েকটি ভাগে বিভক্তঃ

–> mail/im attachments

–> pop up windows

—> sweepstakes

—> spam mail

তো কোন কাজ করার আগে এর সোস্যাল ইন্জিনিয়ারিংয়ের ব্যপারটি খুব ভালোভাবে দেখা উচিত। যখন আমরা কারও ইমেইলে কোন কিছু পাঠাই এবং সে যদি কিছু পাঠায় সেটাই সোস্যাল ইন্জিনিয়ারিং। আর এভাবেই আমরা সোস্যাল ইন্জিনিয়ারিং কাউকে ট্রোজান বা কী-লগার পাঠাতে ব্যবহার করব।